You are currently viewing নিকাহনামা কি এবং উদ্দেশ্য কি?

নিকাহনামা কি এবং উদ্দেশ্য কি?

নিকাহনামা কি এবং উদ্দেশ্য কি? তা নিচে আলোচনা করা হলো-

নিকাহনামা হল একটি ইসলামিক বিবাহের চুক্তি যা একটি আইনি নথির আকারে রচিত। এটি সাধারণত একজন মুফতি বা অন্য কোনও যোগ্য ব্যক্তি দ্বারা সম্পাদিত হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি নথি কারণ এটি বর এবং কনের অধিকার এবং কর্তব্যগুলিকে রেকর্ড করে। এটি বিবাহের ক্ষেত্রে কোনও বিরোধের ক্ষেত্রেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নিকাহনামার প্রধান উদ্দেশ্য হল বর এবং কনের মধ্যে একটি বৈধ বিবাহের চুক্তি প্রতিষ্ঠা করা। এটি বর এবং কনের অধিকার এবং কর্তব্যগুলিকে সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে। এটি বিচারিক ট্রাইব্যুনালগুলিকে বিবাহের বৈধতা এবং বর এবং কনের অধিকার এবং কর্তব্যগুলি নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।

Nikahnama

মূল বিষয়বস্তু নিম্নরূপ:

  • বর এবং কনের নাম এবং পরিচয়: এটি প্রথম অংশে বর এবং কনের নাম এবং পরিচয় উল্লেখ করা হয়। এতে তাদের পিতামাতার নাম, বয়স এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
  • বর এবং কনের সম্মতি: এটি সম্পাদিত হওয়ার জন্য, বর এবং কনের উভয়ের সম্মতি প্রয়োজন। এই অংশে তাদের সম্মতি প্রকাশ করা হয়।
  • নিকাহর শর্তাবলী: এটি সম্পাদিত হওয়ার সময়, বর এবং কনের মধ্যে কিছু শর্তাবলী নির্ধারিত হয়। এই শর্তাবলী এই অংশে উল্লেখ করা হয়।
  • নিকাহর সাক্ষী: নিকাহনামা সম্পাদিত হওয়ার সময়, দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতি প্রয়োজন। এই সাক্ষীরা নিকাহর কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশে, নিকাহনামা সম্পাদনের জন্য, বর এবং কনের উভয়কেই উপস্থিত থাকতে হবে। একজন মুফতি বা অন্য কোনও যোগ্য ব্যক্তি দ্বারা সম্পাদিত হয়। নিকাহ সম্পাদনের জন্য, বর এবং কনের উভয়ের কাছ থেকে সম্মতি নেওয়া হয়। নিকাহনামা সম্পাদনের সময়, দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতি প্রয়োজন। নিকাহনামা একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি নথি যা একটি ইসলামিক বিবাহের ভিত্তি।

কাবিনামা উঠানোর নিয়ম, কত দিনের মধ্যে পাওয়া যায়।

কাবিননামা বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট সাধারণত তিন মাস পরে দেওয় হয়। তবে আমরা কিছু শর্ত সাপেক্ষে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে প্রদান করে থাকি। বিঃ দ্রুঃ আমাদের থেকে বিয়ে করলে, আমরা কাবিন নামা বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট দিয়ে থাকি। বিয়ে যে কাজি করাবেন সে ছাড়া আর কেও কাবিন নামা দিতে পারে না।

উঠানোর নিয়ম

বিবাহের সময় বর- কণেকে একটা রিসিট প্রদান করা হয়, যাতে বর-কণের নাম রেজিস্ট্রি বইয়ের পৃষ্টা নং এবং ভলিউম নং দেওয়া থাকে। এছাড়া বিবাহের তারিখ এবং কাবিনের পরিমান লেখা থাকে। উক্ত রিসিট এবং কিছু টাকা  একদিন কাজী সাহেবকে  দিয়ে আসতে হয়, এর পর ২-৩ দিন পর সম্পূর্ণ টাকা প্রদান করে কাবিন নামা গ্রহন করতে হয়। (যেই কাজি বিয়ে করান, সে ছাড়া আর কেও কাবিননামা দিতে পারবে না)

Leave a Reply